অসেচনক অনুভূতি
মোঃ সোহেল বিশ্বাস
আজ নীলার বিয়ে । বাড়ীতে বিয়ে উপলক্ষে অনেক বেশি লোক হবে সেটা নয় খুব কম লোকেরই আয়োজন করা হয়েছে । পেছনে অবশ্য কারণ আছে । কারণ কি এখন না হয় থাক পরে বলা যাবে । নীলা বিয়েতে রাজি ছিল না তারপরও বাড়ির জড়াজড়ির কারণে বিয়ে করতে রাজি হয় । হ্যাঁ অনেকে ভাববে হয়তো প্রেমের কারনে । কিন্তু সেটা মোটেই কারণ নয় । আসলে মাস ছয়েক হল মেয়েটির স্বামী মারা যায় । বিয়ে করবে না এরকমই চিন্তাভাবনা ছিল তার । বাবা বছর দুয়েক হল মারা গেছেন মা এখন একাই সংসারটা চালনা করে । একটি ছোট ভাই আছে । গ্রামে ছোটখাটো একটি ডাক্তারখানা খুলে বসে আছে । বছরখানেক হলো বিয়ে হয়েছে তার ছোট ভাইয়ের ।নীলাকে উঠতে বসতে খোঁচা দেয় তার ছোট ভাইয়ের বউ । পাঁচ বিঘা সম্পত্তি আছে নীলার বাবার রেখে যাওয়া । সেখান থেকে কিছু আয় আসে তার মায়ের কাছে । নীলা সুমন কে বিয়ে করেছিল প্রেম করে । খুব ভালো ছেলে ছিল । নীলাকে খুব ভালোবাসতো । নীলাও খুব ভালোবাসতো সুমনকে । কিন্তু এই ভালোবাসা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি । হঠাৎ তিন মাসের মধ্যেই হার্ট অ্যাটাক করে সুমন মারা যায় । শ্বশুরবাড়িতে বিভিন্ন ঝামেলার কারণে সেখান থেকে মায়ের বাড়ি চলে আসি নীলা । সে সারাদিন ভাবনায় মগ্ন থাকে সুমনকে নিয়ে । সারাদিন কান্না করে । মেয়ের কান্না মায়ের কাছে খুব কষ্টকর ছিল । মা মেয়েকে বহুকষ্টে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য রাজি করাই । নীল একটি প্রাইভেট স্কুলে চাকরি করে । পড়াশোনায় খুব ভালোই ছিল বলা যায় । খুব মেধাবী ছাত্রী । কিন্তু রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কারণেই হয়ত সরকারি চাকরি হয়ে ওঠেনি । এদিকে নীলার ছবি দেখে ভাল লেগে গেছে শামীম এর । মাসখানিক মতো লেগেছে নীলাকে রাজি করাতে । শেষ পর্যন্ত রাজি হয় । সামান্য একটু আয়োজনে তাদের বিবাহ কাজ সম্পন্ন হয় । ১
একটি প্রেমের গল্প:১ম#HeartfeltMessage